Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে পারিবারিক পুষ্টি বাগান

কৃষিবিদ মো: আসাদুল্লাহ১ মো: মিজানুর রহমান২

সবুজ বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করতে হলে আরো ব্যাপকভাবে পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন, শস্যের বহুমূখীকরণ ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি কার্যক্রমকে শক্তিশালীকরণ  প্রয়োজন। ফসল উৎপাদনের মূল কাণ্ডারী এই দেশের মেহনতি কৃষক। তাই উন্নত প্রযুক্তি ও কলাকৌশল কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারলে কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া সম্ভব। এতে কৃষক আর্থিকভাবে যেমন উপকৃত হবে তেমনি দেশের খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হয় অধিক শস্য। দেশ হবে আরো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোতে খাদ্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধশালী ও টেকসই করতে সরকার সারা বছর সময়ের চাহিদার নিরীখে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।


বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলায় নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বসতবাড়িতে শাকসবজি বাগান সৃজন এবং ফলগাছ লাগানো অপরিহার্য। এতে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পারিবারিক আয় বৃদ্ধি এবং পারিবারিক শ্রমের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২টি কর্মসূচি গ্রহণ করে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৭৩৬.২১৯২০ লাখ টাকা খরিপ-১/২০২০-২১  মৌসুমে পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজি-পুষ্টি বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ/চারা ও সার সরবরাহ সহায়তা প্রদান বাবদ কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি । যার ফলে ৬৪ জেলার ৪৯১টি উপজেলার ৪৪৩১টি ইউনিয়নের ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৯২ কৃষক পরিবার উপকার পাবে।  পাশাপাশি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫২৯১.০৭৩৬০ লাখ টাকার মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষ্যে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে ৬৪ জেলার ৪৯১টি উপজেলার ৪৫৯৭টি ইউনিয়ন এবং ১৪০টি পৌরসভার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ কৃষক পরিবার সংখ্যা পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা উপকার ভোগ করবে। সে সাথে বসতবাড়িতে পরিকল্পিতভাবে লাগসই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজির বাগান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য, পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি সম্ভব হবে। পরিবারের সকল সদস্যের শ্রম উৎপাদন কাজে লাগিয়ে স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা হবে। বসতবাড়ির বিদ্যমান সম্পদের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন হবে। বসতবাড়িতে পরিকল্পিত ফলগাছ লাগানো ও পরিচর্যার মাধ্যমে ফল-ফলাদির উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।


বাংলাদেশে প্রায় ৫.৪০ লাখ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫৩.৬০ লাখ বসতবাড়ি রয়েছে, আমাদের দেশে বসতবাড়ির আয়তন খুব ছোট। বসতবাড়ির গড় আয়তন ০.০২ হেক্টর। এ সব বসতবাড়িতে শাকসবজি বাগান সৃজনের মাধ্যমে আমাদের পুষ্টির চাহিদার অনেকাংশ মেটানো সম্ভব (ক্যালরি চাহিদা ৩-৪৪%, প্রোটিন ৪-৩২%)। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উচ্চফলনশীল শাকসবজি আবাদে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে উক্ত ফসলগুলোর আবাদ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন এসব গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পুষ্টি চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি আর্থিক সমৃদ্ধির পথকেও প্রসারিত করবে। বিগত বছরগুলোতে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে কৃষকদের সবজি ও ফল চাষাবাদে আগ্রহ  বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া পতিত জমি চাষের আওতায় আনার ফলে শস্য নিবিড়তাও বেড়ে যাবে।


দেশে জাতীয় শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রচেষ্টায় বিগত বছরগুলোর ন্যায় ২০১৯-২০ অর্থবছরেও প্রণোদনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উল্লিখিত দুইটি কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে খরিপ মৌসুমে শাকসবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার, বেড়া, খুঁটি ও অন্যান্য উপকরণ সরবারাহ সহায়তা প্রদানের কাযক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত কার্যক্রম উক্ত ফসলগুলোর আবাদ বৃদ্ধি করবে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পারিবারিক সচ্ছলতা ও দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শাকসবজি জাতীয় ফসল আবাদের মাধ্যমে কৃষকের সবজি চাহিদার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক মানসিক প্রশান্তির সাথে অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল চাষাবাদে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবে।


শাকসবজি ফসল ভিটামিন-খনিজসহ পুষ্টির প্রধান উৎস। দেহে উদ্ভিদজাত প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান শাকসবজি জাতীয় ফসল থেকে নিশ্চিত হয়। তাই মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষ্যে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন কর্মসূচি গ্রহণ বর্তমান কৃষি উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে সফল করে তুলবে।


বর্তমান কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১-১.৫ শতক জমি চাষাবাদের জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হবে এবং ১.৫ শতক জমির উপকরণ ও উপকরণ বাবদ আর্থিক সহায়তা সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
সময় উপযোগী সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে স্থাপনের এ প্রণোদনা দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মুখে সচ্ছলতার হাসি ফুটিয়ে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা খাত কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল করবে। য়

১পরিচালক, সরেজমিনউইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা, ফোনঃ ৯১৩৪৫৮৭, ২উপপরিচালক, মনিটরিং, সরেজমিন উইং, ডিএই, মোবা : ০১৭১৬৮৫২১৮৬, ইমেইল : ddmonitoring@yahoo.com

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon